বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 5 minutes
@ ভোটকেন্দ্র ও কক্ষে থাকবে সিসি
@ ইভিএমে মক ভোটিং হবে আজ ও কাল
@ ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের তালিকা নির্ধারন হয়নি
@ পাঁচদিন আগ্নেয়াস্ত্রসহ চলাচল নিষিদ্ধ
@ ৭২ ঘণ্টার জন্য মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা
হারুন উর রশিদ সোহেল, রংপুর:
আসছে ২৭ ডিসেম্বর রংপুর সিটি কর্পোরেশন (রসিক) নির্বাচনকে ঘিরে জমজমাট নির্বাচনী মাঠ। প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। গতকাল বুধবার স্বরাস্ট্র মন্ত্রনালয় ২৫ ডিসেম্বর থেকে পাঁচদিন আগ্নেয়াস্ত্রসহ চলাচল নিষিদ্ধ করে এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। আর ভোটের এলাকায় ৭২ ঘণ্টার জন্য মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন সষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে নির্বাচন কমিশন। সবগুলো কেন্দ্রে ইভিএমে নির্বাচন হবে। ৩ হাজারের বেশি ইভিএম মেশিন চলে এসেছে। এবারের নির্বাচনে মাঠে থাকবেন ৪৯জন ম্যাজিস্ট্রেট।
এদিকে নির্বাচন কমিশন জানায়, এবারের নির্বাচনে প্রতিটি ভোট কেন্দ্র ও কক্ষে থাকবে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শেষের দিকে। আজ বৃহস্পতিবার ও আগামীকাল শুক্রবার মক ভোটিং অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে ভোটার শিখন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। পুলিশ এখনো ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের তালিকা নির্ধারন করতে পারেনি।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, গত ৯ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের প্রদচারণায় মূখর হয়েছে উঠেছে। নির্বাচনের এখনও ৬দিন বাকি থাকলেও দিনরাত চষে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা। বসে নেই প্রার্থীর দলীয় নেতাকর্মী, সমর্থক ও আত্বীয়স্বজন, শুভাকাংঙ্খীরা। পাড়া-মহল্লা, হাট-বাজার, বাসা-বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে পথসভা, গণসংযোগ করছেন। ভোট চাচ্ছেন। নিজের যোগ্য প্রার্থী হিসাবে উপস্থাপন করছেন। নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। ভোটারদের আকৃষ্ট করতে ডিজিটাল মাধ্যমেও নিজের তুলে ধরছেন। সব মিলিয়ে জমে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ। এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৯জন প্রার্থী। এর মধ্যে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবার সম্ভবনা রয়েছে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার সাথে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাড. হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়ার মধ্যে। তবে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সাথে বেশীরভাগ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সম্পৃক্ত না থাকায় নৌকার ভোটের মাঠে প্রভাব ফেলতে পারে। তাছাড়া মনোনয়ন বঞ্চিত ও অভ্যন্তরীণ কোন্দল বেকায়দায় ফেলতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকেই।
তবে অনেকেই ধারণা করছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফুর রহমান মিলন ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আমিরুজ্জামান পিয়াল কিছুটা প্রভাব বিস্তার করতে পারেন।
এছাড়াও বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী আবু রায়হান, খেলাফত মজলিসের প্রার্থী তৌহিদুর রহমান মন্ডল রাজু, জাসদের প্রার্থী শফিয়ার রহমান ,জাকের পার্টির প্রার্থী খোরশেদ আলম খোকন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
এবারের নির্বাচনে ৯ জন মেয়র ছাড়াও সংরক্ষিত কাউন্সিলর ৬৮ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর ১৮৩ জনসহ মোট ২৬০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ইভিএমের ব্যবহার কারিগরি বিষয় হওয়ায় ভোটারদের ইভিএমের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আগামী ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর মক ভোটিং অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে ভোটার শিখন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। শিখন কার্যক্রমে ভোটাররা ইভিএমে ভোটদান সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাবে। এছাড়া নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডে ১৬ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। ২৫ ডিসেম্বর রাত ১২টা থেকে ২৮ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত মোটর সাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনার রাশিদা সুলতানা গতকাল বুধবার বিকালে রংপুরে আসেন। বৃহস্পতিবার সকালে রংপুর সরকারি কলেজের অডিটরিয়ামে তিনি প্রিজাইডিং অফিসারদের সাথে মতবিনিময় করবেন।
১ হাজার ৩৪৯টি ভোট কক্ষে একটি করে সিসি ক্যামেরা এবং ২৩০টি কেন্দ্রে প্রতিটি কেন্দ্রে ২টি করে সিসি ক্যামেরাসহ মোট ১ হাজার ৮’শ সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ প্রায় শেষের পথে। এছাড়া ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, সহকারি প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং অফিসারদের ইভিএম বিষয়ে দুইদিনে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনের জন্য ব্যবহৃত ইভিএম নির্বাচন ভবনে রাখা হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অথবা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মনোনীত ব্যক্তিরা ইভিএম কাস্টমাইজেশন সেন্টারে উপস্থিত হয়ে কাস্টমাইজেশনের বিভিন্ন দিক অবলোকন করতে পারবে এমন ব্যবস্থাও করা হয়েছে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে কারিগরি জ্ঞান সম্পন্ন প্রশিক্ষিত দুইজন কর্মকর্তা/কর্মচারী কারিগরি সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি ভোট গ্রহণের কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। ভোট গ্রহণের আগের দিন ২৬ ডিসেম্বর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নামের বিপরীতে ব্যালট ইউনিটে প্রতীক সন্নিবেশিত রয়েছে কিনা তা ভোট কেন্দ্রে পৌছে প্রিজাইডিং অফিসার যাচাই করবেন।
সার্বিক বিষয়ে নির্বাচন কর্মকর্তা আফতাব হোসেন বলেন, নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের তালিকা পুলিশ এখনো তাদের হাতে দেননি।
দুর্নীতির সাথে আমার কোন আপোষ নেই: জাপার মেয়র প্রার্থী মোস্তফা
রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনীত লাঙ্গল মার্কার প্রার্থী ও সদ্য বিদায়ী মেয়র মোঃ মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেছেন, দূর্নীতির বিরুদ্ধে সব সময় আমার জিরো টলারেন্স। আমি রংপুর সিটি করপোরেশনের ৫ বছর থাকাকালীন সময়ে কোন সংস্থা, কোন ব্যক্তি ১০টি টাকার দুর্নীতি বের করতে পারে নাই। এবং আগামী দিনেও আল্লাহ যদি আমাকে নির্বাচিত করেন, তাহলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই ধারা অব্যাহত থাকবে। দুর্নীতির সাথে আমার কোন আপোষ নেই। তিনি বলেন, এমনকি আমিও যদি দুর্ণীতি করি, আমার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হলেও আমার কোন আপত্তি থাকবে না। আমার কাছে যদি রিপোর্ট আসে সিটি করপোরেশন কোন কর্মকর্তা, কর্মচারী দুর্ণীতির সাথে জড়িত। তাহলে আই ইউল টেক একশন হিম।
গতকাল বুধবার দুপুরে নগরীর শাপলা চত্ত্বর, গ্র্যান্ড হোটেল মোড়, সালেক মার্কেট, শাহ জামাল মার্কেট, সালেক পাম্প ও জীবন বীমা এলাকায় গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন তিনি। জাপার প্রার্থী বলেন, এই নির্বাচনে আমাদের নতুন রেকর্ড তৈরি হবে। গত নির্বাচনের ভোটের থেকে অনেক বেশি ভোটে জিততে হবে। আল্লাহ রাববুল আলামিন যদি আমাদের সহায় হয়। পুরো নগরে লাঙ্গলের জয় জয়কার। এই নির্বাচনে আমরা আশাবাদী ফলাফলটা গতবারের রেকর্ডকে ভেঙ্গে আবার নতুন রেকর্ড তৈরি হবে। বর্ধিত এলাকার রাস্তাঘাট উন্নয়ন সম্পর্কে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা বলেছেন, নগরীর বর্ধিত এলাকাগুলোতে প্রায় ১২শ’৪০ কিলোমিটার রাস্তার কাজ ইতি মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বাকি রয়েছে ৬শ’ ৫০ কিলোমিটার। আমার সময়ে যে ডিপিপি সাবমিট করা আছে, এটা আমি অলরেডি স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালায়ে পাশ করিয়েছি। এখন পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ে একনেক বৈঠকে উঠার মত অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান, মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায় এস এম ইয়াসির, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা জাপার সদস্য সচিব হাজী আব্দুর রাজ্জাক, সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন, সহ-সভাপতি জাহেদুল ইসলাম, জাতীয় যুব সংহতি রংপুর জেলার সভাপতি হাসানুজ্জামান নাজিম, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, ঠাকুরগাও জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক স্বপ্ন চৌধুরী, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা জাপার সভাপতি মশিউর রহমান, জাতীয় যুব সংহতি রংপুর মহানগর সভাপতি শাহিন হোসেন জাকির, মহানগর জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত আসিফ, জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টি রংপুর মহান আহবায়ক মোঃ ফারুক হোসেন মন্ডল, সদস্য সচিব মাসুদ রানা বিপু, স্বেচ্ছাসেবক পার্টি রংপুর জেলার সদস্য সচিব মোঃ নাজমুল হুদা লাবলু, জাতীয় অটো শ্রমিক পার্টি রংপুর মহানগর সভাপতি তসলিম উদ্দিন প্রধান উচ্ছল, সাধারণ সম্পাদক মাসুদার রহমান মিলন, জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টি রংপুর মহানগর সভাপতি লিজা প্রমুখ।
রংপুর নগরবাসীর ভাগ্য উন্নয়নের মার্কা নৌকা ; মেয়র প্রার্থী ডালিয়া
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা মার্কার মেয়র প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া বলেছেন, রংপুরের মানুষ নৌকা মার্কায় ভোট দিতে উদগ্রীব হয়ে আছে। কেননা নগরবাসীর ভাগ্য উন্নয়নের মার্কা নৌকা। ২৭ ডিসেম্বর হবে নৌকা মার্কার বিজয়ের দিন।
বুধবার বিকেলে নগরীর মেডিক্যাল মোড় এলাকায় মহানগর যুবলীগের আয়োজনে গনসংযোগে এসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।ডালিয়া বলেন, রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ। তাদের সকলের সহযোগীতা ও রংপুরের সাধারণ মানুষের দোয়া এবং সমর্থন নিয়ে এবার নৌকা মার্কার জয় হবে ইনশাআল্লাহ।এসময় উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মতিউর রহমান বাদশা, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল পারভেজ,ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল,মহানগর যুবলীগের সভাপতি সিরাজুম মনির বাশার, সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন, জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুজ্জামান শাহীন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান রনি প্রমুখ।
রংপুর সিটিতে নির্বাচনী অপরাধ রোধে মাঠে থাকবেন ৪৯ ম্যাজিস্ট্রেট
রংপুর সিটি করপোরেশনে (রসিক) ভোটগ্রহণের আগে-পরে নির্বাচনী অপরাধ রোধে পাঁচ দিন দায়িত্ব পালন করবেন ৪৯ জন ম্যাজিস্ট্রেট। এদের মধ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ৩৩ জন এবং বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন ১৬ জন। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানান, বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য রংপুর জেলা প্রশাসককে এরই মধ্যে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আগামী ২৭ ডিসেম্বর রসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে। নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করার জন্য ২৫ থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত চার দিন প্রতি ওয়ার্ডে একজন করে মোট ৩৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বর্তমানে ১১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভোটের মাঠে দায়িত্ব পালন করছেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এবং স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ ও স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা-২০১০ অনুযায়ী নির্বাচনী অপরাধ রোধ, বিজিবির স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে দায়িত্ব পালন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার নিমিত্তে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবেন।